হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে দ্বিতীয় ধাপে বাড়তি গ্যাসের দাম কার্যকর হচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি র...
হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে দ্বিতীয় ধাপে বাড়তি গ্যাসের দাম কার্যকর হচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভোক্তা পর্যায়ে দুই দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল। সে অনুযায়ী গত ১ মার্চ থেকে প্রথম দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপের মূল্যবৃদ্ধি বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিকে এক চুলার জন্য মাসিক বিল ৯০০ ও দুই চুলার জন্য ৯৫০ টাকা দিতে হবে। প্রতি ঘনমিটার সিএনজির দাম হচ্ছে ৪০ টাকা। এ ছাড়া অন্য সব খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ছে। আগামী জুলাই মাস থেকে গ্রাহকদের গ্যাসের জন্য বাড়তি এই অর্থ ব্যয় করতে হবে।
দুই ধাপে তারা ৮ খাতে গড়ে ২২.০৭ শতাংশ দাম বাড়িয়েছিল। প্রথম দফার দাম কার্যকর হলেও আদালতের রায়ে আটকে যায় দ্বিতীয় দফার (১ জুন) দাম। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে আবার সে আদেশ স্থগিতও হয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের এই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আবেদনটি আগামী ৫ জুন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফার বর্ধিত দাম কার্যকর হতে বাধা নেই বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিইআরসি বলছে, এই অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম বাড়াতে আর কোনো বাধা নেই।
বিইআরসির আদেশ অনুসারে বৃহস্পতিবার থেকে গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার হবে ১১ টাকা ২০ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারে গুনতে হবে ১৭ টাকা ৪ পয়সা। শিল্পকারখানার ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে হচ্ছে ৯ টাকা ৬২ পয়সা। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটারপ্রতি হবে ৩ টাকা ১৬ পয়সা।
এছাড়া সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম হবে ২ টাকা ৭১ পয়সা। শিল্প উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বেড়ে হবে ৭ টাকা ৭৬ পয়সা। চা বাগানে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটার প্রতি বেড়ে ৭ টাকা ৪২ পয়সা হবে।
No comments