মানুষের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। তাই মানুষ বিদ্যুতের জন্য সুপরিবাহক। হাই ভোল্টেজের কারেন্ট মানুষের হার্টবিটকে বাধা দেয়, হার্টকে নিজের মত চলতে ...
মানুষের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। তাই মানুষ বিদ্যুতের জন্য সুপরিবাহক। হাই ভোল্টেজের কারেন্ট মানুষের হার্টবিটকে বাধা দেয়, হার্টকে নিজের মত চলতে দেয়না। তাই হার্ট এটাক হতে পারে। এছাড়া শরীর পুড়ে যাওয়া, ব্রেন ড্যামেজ এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা দেখা দেয়। একারণেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। কিন্তু মানুষ লো ভোল্টেজে শক খেলে কখনো শুধু আহত হতে পারে, কখনো টের নাও পেতে পারে(যেমন ১.৫ ভোল্টের পেন্সিল ব্যাটারির শক)।
করণীয়:
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি যদি তখনো বিদ্যুতের আওতাধীন থাকে, অর্থাৎ তাঁর শরীরে কিংবা হাতে-পায়ে বিদ্যুতের তার জড়ানো থাকে, তাহলে প্রথমেই মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে কিংবা সকেট থেকে প্লাগ সরিয়ে ফেলতে হবে।
মেইন সুইচ বন্ধ করা বা সকেট থেকে প্লাগ সরানো সম্ভব না হলে বিদ্যুৎ অপরিবাহী কিছু দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির শরীর থেকে বিদ্যুতের তারটি সরিয়ে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে লম্বা, একেবারে শুকনো বাঁশ বা লাঠি, একটি শুকনো দড়ি কিংবা লম্বা শুকনো কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
যিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করছেন, খেয়াল রাখতে হবে তাঁর হাত দুটো যেন শুকনো থাকে এবং তাঁকে শুকনো কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে কাজটি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল থাকতে হবে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই যদি দরকার হয় কৃত্রিম শ্বসন প্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং বাইরে থেকে বুকে চাপ দিয়ে (হৃদমর্দন) তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা করতে হবে।
প্রয়োজনে রোগীকে উপুড় করে রোগীর এক হাত লম্বা করে এবং অন্য হাতটি ভাঁজ করে মাথার নিচে রেখে রোগীর পিঠে চাপ দেওয়া যেতে পারে।
এরপর দ্রুত রোগীকে কাছের হাসপাতালে বা চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে শরীরে জলীয় উপাদানের, বিশেষ করে ইলেকট্রোলাইটসের প্রচুর ঘাটতি হয়। রোগী যাতে প্রচুর জলীয় উপাদান পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে